ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভার শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজে এমজিএসপি প্রকল্পের অত্যাধুনিক এস্কেভেটর গাড়ি

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  চকরিয়া পৌরসভার শতকোটি টাকার চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এবার সংযুক্ত করা হয়েছে কোটি টাকা দামের অত্যাধুনিক একটি স্কেভেটার গাড়ি। মুলত সহজতর কৌশলে উন্নয়ন কাজ তরান্তিত করার অভিপ্রায়ে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরীর বিশেষ তদবিরে এমজিএসপি প্রকল্প থেকে কোটি টাকার দামের এই স্কেভেটার গাড়িটি চকরিয়া পৌরসভাকে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পৌরসভা মিলনায়তনে গাড়িটি আনুষ্ঠানিক গ্রহণ করেছেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী। ওইসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, সচিব মাস-উদ মোর্শেদ, হিসাবরক্ষক শাফায়েত হোসেন ছাড়াও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়রের একান্ত সহকারি শেফায়েত ওয়ারেসি।

চকরিয়া পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের টিকেটে মেয়র নির্বাচিত হবার পর আলমগীর চৌধুরীর সফল নেতৃত্বে বর্তমান পৌর পরিষদ চকরিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অলিগলিতে পরিকল্পিত উন্নয়নের মহাযঞ্জ শুরু করেন। এরই আলোকে ইতোমধ্যে পৌরসভার প্রতিটি জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বিশেষ করে পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে আরসিসি সড়ক নির্মাণ, পুরাতন সড়কে নতুন করে কার্পেটিং, পানি নিস্কাশনে আধুনিকমানের আরসিসি ড্রেন, কালভার্ট, ক্রেস ড্রেন, নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের সড়কগুলোতে লাইটিং এবং ড্রেনের উপর আধুনিকমানের টাইলাস স্থাপন ও টেকসই সড়ক নির্মাণে দুইপাশে সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় গাছ রোপন কর্মসুচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, মেয়র আলমগীর চৌধুরীর সফল নেতৃত্বে বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে যেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে তেমনি চকরিয়া পৌরসভা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য একে পর এক কোটি টাকার দামে গাড়ি যুক্ত করেছেন। এতে প্রমাণিত হচ্ছে মেয়র আলমগীর চৌধুরী কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। উন্নয়নের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ পেয়েছে পৌরবাসি।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, বিশ^ব্যাংকের এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে গেল অর্থবছরের ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ছোট-বড় ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজে সন্তোষ্ট হয়ে এমজিএসপি প্রকল্পের নীতিনির্ধারক মহল নতুন অর্থবছরে উন্নয়নে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সমুহ ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দে চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরসিসি সড়ক নির্মাণ, আধুনিকমানের ড্রেইন, কালভার্ট নির্মাণ, সলিট ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট, পানি সরবরাহ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, সড়কের উভয়পাশে লাইটিং বাতি স্থাপন, ছোট্ট শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিকমানের শিশু পার্ক নির্মাণ, সকলধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনে উন্নতমানের একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। করোনাকালীন সময়ে উন্নয়ন কাজ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলছে।

মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, চকরিয়া পৌরসভার চলমান মেগাউন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি কার্যক্রম পরিদর্শনে গতমাসে চকরিয়া এসে প্রকল্প পরিচালক শেখ মুজাক্কা জাহের উন্নয়নকাজের গুনগতমান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি দ্রুতসময়ের মধ্যে বাস্তবায়নধীন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমুহ স্বচ্ছতার মাধ্যমে সমাপ্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আশাকরি ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমুহ সমাপ্ত হলে শতভাগ নাগরিক সেবা পেতে শুরু করবে চকরিয়া পৌরবাসি।

 

পাঠকের মতামত: